বুধবার (০৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল, গেন্ডা, হেমায়েতপুর, কাঠগড়া, নরসিংহপুর ও জিরাবো এলাকাসহ ১২টি স্পটে এ শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাভারের উলাইল এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্রমিকরা জানায়, নতুন বেতন কাঠামোতে মজুরি বৈষম্যের কারণে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে সাভারের উলাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকার ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ টিয়ারসেল ছুড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে জলকামান নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। প্রায় টানা চার ঘণ্টা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এদিকে সকালে হেমায়েতপুর এলাকার ট্যানারি-হেমায়েতপুর সড়ক অবরোধ করে রাখলে সেখানেও শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সাভারের কাঠগড়া, জিরাবো ও নরসিংহপুরসহ প্রায় ১২টি স্পটে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ প্রায় ৩০ শ্রমিক আহত হয়।
এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উলাইল এলাকার আল-মুসলিম কারখানার সামনে শিল্প পুলিশ আশুলিয়া-১ এর এসপি সানা সামিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে সাভারের ১২টি স্পটে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এছাড়াও শ্রমিকদের ছোড়া ইট-পাটকেলে তাদের বেশ কিছু পুলিশ সদস্য আহত হন।
শ্রমিক অসন্তোষের মুখে সাভারে ছয়টি ও আশুলিয়ায় নয়টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে বলেও তিনি জানান।
এরআগে, মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) সংঘর্ষে সুমন মিয়া (২২) নামে আনলিমা পোশাক কারখানার এক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রমিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৯
এনটি