বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের তিনটি সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে—দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতি সেতু।
ঢাকা-সিলেট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ফোরলেন
দেশের জাতীয় সড়কের আওতায় আরো দু’টি ফোরলেন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এর একটি হচ্ছে ঢাকা-সিলেট এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ফোরলেন প্রকল্প। এই বছরের জুনের আগেই কাজ শুরু করার ইচ্ছের কথা বললেন সেতুমন্ত্রী। তবে আগে ঢাকা-সিলেট। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়তো একটু পরে হতে পারে। যেটা পাবলিক প্রাইভেট পাটনারশিপ এর মাধ্যমে হবে। এখানে জাপান অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছে।
পুনরায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার অগ্রাধিকার হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। আমার অগ্রাধিকারের মধ্যে নম্বার ওয়ান সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। যত অবকাঠামোই হোক না কেন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে কোনো কাজই সফল হবে না। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই হবে। সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দিয়েছি। এই কাজটি প্রথমে করতে হবে। শৃঙ্খলার বিষয়টি প্রথম দিকেই করতে হবে। পরে আবার নির্বাচনের বিষয় আসবে, রাজনৈকি বিভিন্ন চাপ আসবে। এটা প্রথম রাতে বিড়াল মারার মতোই, এই বিষয়গুলো নজরদারি করতে হবে। সেটাই আমি বেছে নিয়েছি।
আগের মেয়াদেও কয়েকবার একই কথা বলার পরেও কেনো সম্ভব হলো না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কিছু সমস্যা তো আছেই। এখানে শুধু আমি একা না, আরো অনেক মন্ত্রী আছেন, অনেক বিভাগ আছে। সবার সহমত থাকতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়েই কাজটা করতে চাই।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে একটা ফরমেট তো আছেই। তাছাড়া আমার নিজস্ব কিছু কৌশল আছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে ছোট ছোট যানবাহন গুলো হাইওয়েতে চলছে। তাছাড়া মোটরসাইকেল একটা নতুন উপদ্রব। ঢাকা শহরে হেলমেট নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি, তবে জেলাগুলোতে এখনো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে। এর রাশ টেনে ধরতেই হবে। আমরা যদি সম্মিলিত শক্তি প্রয়োগ করি তাহলে কাজটি সম্ভব। এটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব না।
জটিলতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে নানান বিষয় আছে। অনেকেরই স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে, কাজেই যাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে তারা তো বাধা দেবেই। স্বার্থ ক্ষুন্ন যাদের হবে তারা সাধারণের চেয়ে অসাধারণ মানুষ বেশি। কাজেই বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসএম/এমজেএফ