গ্রেফতার আসামিরা হলেন- আশরাফুল ইসলাম (২৭), আল-আমিন মন্ডল রতন (৩০), উজ্জল হোসেন (২৩), শিমুল মোল্লা (১৯), জহিরুল ইসলাম ওরফে পাপ্পু মিয়া (২০), আব্দুল মোমিন (২৪), শাহীন আলম (২৪), নুর আলম সিদ্দিকী (২৫), মাজেদুল ইসলাম (২৫), ইমরুল হাসান (২৩), মনিরুজ্জামান (২৪), রিঙ্কু কুমার দাস (৩০) ও অভিজিত পান্ডে (২৪)।
বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. এনামুল কবির এ তথ্য জানান।
এনামুল কবির বলেন, ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে বুধবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ চক্রের সদস্যরা এমএলএম পদ্ধতির মতোই কাজ করতো। চাকরিপ্রার্থী এনে দিলে কমিশন পেত চক্রের সদস্যরা। আর এ সুযোগে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা।
গত অক্টোবরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গাজীপুরে লাইফওয়ে নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বারিধারার ভাটারার এক্সিলেন্ট ট্রেড মার্কেটিং লিমিটিড নামে একটি কোম্পানির অফিসে অভিযান চালিয়ে ১৩ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে কোম্পানির প্যাডে ছাপা ১১৫টি অঙ্গীকার নামা, কোম্পানির নামে পূরণ করা ৪২টি আবেদনপত্র ও এগ্রিমেন্ট ফরম ও পূরণ করা ৩০ টি ট্রেডিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করতো। একপর্যায়ে এমএলএম পদ্ধতির মত নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে বলে তাদের ফাঁদে ফেলতো। এভাবে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। এভাবে বিভিন্ন সময় ১৩০ জনের কাছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এ চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/