বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ৮ নম্বর রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মধুগ্রামের নিজ ঘরের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি পশ্চিম মধুগ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
নিহতের বোন জরিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, তার ভাই আবুল কালাম গত ৬ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঘরের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এসময় সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা সামান্য খোলা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে জানান।
মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ছাগলনাইয়া থানা পুলিশকে জানালে দুপুর ২ টায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে মরদেহ দেখতে পায়। এরপর বিকেল ৫ টায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় ঘটনাস্থলে সহকারী পুলিশ সুপার নিশান চাকমা, ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদ, ওসি তদন্ত সুদ্বীপ রায় পলাশ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তার ভাই আবুল কালাম তিন বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রেখা আক্তার নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর ঢাকায় এক পোশাক শ্রমিককে বিয়ে করেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী রেখার সঙ্গে বাড়িতে থাকতেন।
গত দু’বছর আগে আবুল কালাম স্ট্রোক করার পর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করেন। গত শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। আত্মীয়-স্বজনসহ পরিচিত সব জাগায় খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, সাধারণ ডায়েরির (জিডি) বিষয়টি স্মরণে ছিলো না বলেও জানান তিনি।
ওসি এমএম মুর্শেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে, গত ছয়দিন আগ আবুল কালাম নিখোঁজ হলেও পরিবার থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার (৪০) ও বড় ছেলে মো. হাসানকে (১৬) থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি সুদ্বীপ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এসএইচডি/ওএইচ/