শনিবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সংস্কৃতি পরিষদ, বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানে বিবেকানন্দ বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, বিবেকানন্দ নিজেকে জানার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতিকে সারাবিশ্বে তুলে ধরার কৃতিত্ব অর্জন করেন। বিবেকানন্দ যে মানুষের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতির কথা বলেছেন তা যদি মানুষ বুঝতে পারতো তাহলে মানুষ লোভ, ক্রোধ দ্বারা আক্রান্ত হতো না। সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করতো। শান্তি ও সম্প্রীতির একটি মানবিক ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে বিবেকানন্দ সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি মানুষের মধ্যে যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব রয়েছে তা মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বিবেকানন্দ ছিলেন জ্ঞানের সাধক। বাঙালি জাতি ও হিন্দু ধর্মকে বিশ্বের কাছে তিনি তুলে ধরেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভাবনা এবং সমাজের সবাইকে এক করে দেখার অনুপ্রেরণা এই মহান বাঙালির কাছ থেকেই আমরা পেয়েছি।
অনুষ্ঠানে ২৫ জন দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয়। এর আগে শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে জগন্নাথ হলের স্বামী বিবেকানন্দ ভাস্কর্য প্রাঙ্গণে প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। সকাল ৭টায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ হল থেকে বিশ্ব শান্তি কামনায় একটি সম্প্রীতি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বার্ষিক প্রকাশনা “জ্ঞানদীপ”-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এসকেবি/আরআর