শনিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে এ সংঘর্ষের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও অনেকগুলো ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
নিহত আশিকুর মদনপুরের চাঁনপুর এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে। তিনি মদনপুরের প্যানডেক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন।
জানা গেছে, রাতে মদনপুর এলাকার ড্রিমল্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে নূর নবী ও রিফাত নামে দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। তারা মূলত স্থানীয় খলিল মেম্বারের লোক। পরে এ খবর স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়লে খলিল মেম্বারের লোকজন এসে পুলিশকে ঘিরে রাখে। তারা আটক দুইজনকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করে। তখন পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা শুরু হয়। এ সময় আরেক প্রতিপক্ষ আমির হোসেনের লোকজন পুলিশের পক্ষ নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রাত ৮টায় মদনপুর এলাকার প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমান ও তার পক্ষের লোকজন পুলিশকে ধাওয়া করলে পুলিশ পাল্টা অ্যাকশনে যায়।
সংঘর্ষে পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী, কনস্টেবল দেবাশীষ, মোহনসহ চারজন আহত হন। এছাড়া স্থানীয় অন্তত আরও ৪০ থেকে ৪৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বাবু নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তাছাড়া কেউ মারা গেছে, বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৯
টিএ/