ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দায়সারা কালভার্টে ভোগান্তি চরমে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
দায়সারা কালভার্টে ভোগান্তি চরমে

রাঙামাটি: রাঙামাটির দুর্গম উপজেলা বিলাইছড়ি। এ উপজেলায় শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়দের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। তবে বছরের বেশিরভাগ সময় কালভার্টটি পানির নিচে থাকায় সেটি কোনো কাজেই আসে না। এতে চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছে ওই এলাকার মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের কাছে কাপ্তাই হ্রদের ওপর কালভার্ট নির্মাণের জন্য আবেদন করেন। উপজেলা প্রশাসন ৩৯ ফুট দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট কালভার্টের প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

এরপর ৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ টাকায় ব্যয়ে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু হ্রদের পানি বাড়ার উচ্চতা পরিমাপ না করে কালভার্টটি নির্মাণ করায় বেশিরভাগ সময় সেটি থাকে পানির নিচে। এছাড়া ওই কালভার্টের সঙ্গে কোনো সংযোগ সড়কও নেই। দায়সারাভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করায় সেটি কোনো কাজেই আসে না।

এ বিষয়ে বিলাইছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার্থী এবং দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের জন্য কালভার্টটি নির্মাণের দাবি ছিলো দীর্ঘদিনের। দাবি অনুযায়ী কালভার্ট নির্মাণ করেছে প্রশাসন কিন্তু কালভার্টটি বছরের বেশির ভাগ সময় হ্রদের পানির নিচে থাকে। ফলে আরো ভোগান্তি বেড়েছে এলাকাবাসীর।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, কালভার্টটির নকশা প্রণয়ন করেন সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। কাজ শুরুর আগে মনিরুল বদলি হন। এরপর কালভার্টটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন কমল বরণ সাহা। কাজটি তার আমলে শেষ হয়। সম্প্রতি আমি বদলি হয়ে এসেছি। তাই এ ব্যাপারে আমার তেমন কিছু জানা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএফআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।