মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন জানালে জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক গাজী রহমান তাদের জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে ৪ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমপর্ণের আদেশ দেন আদালত।
নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো, গাংনী উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি ও ধানখোলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, জেলা যুব দলের সদস্য জাহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাচ্ছু, বামুন্দী শাখা শ্রমিক দলের সভাপতি মুন্না, মটমুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম মাস্টার, বিএনপি নেতা ওবায়দুল হকসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৪০ নেতাকর্মী।
গত বছরের ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) দিবাগত রাতে গাংনী থানার ওসি হরন্দ্রেনাথ সরকারের নেত্বতে পুলিশ করমদী কল্যাণপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ২২ জনকে আটক করেছিল।
তাদের কাছ থেকে ১৭টি ককটেল, ৩টি রামদা, ৪টি ছুরি ও ৭টি লাঠি জব্দ করা হয় বলে দাবি করেছিল পুলিশ।
এ ব্যাপারে সরকারবিরোধী নাশকতা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয় গাংনী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে। গাংনী থানার মামলা নম্বর ২০, এছাড়া সিআর মামলা নম্বর ৩৩২, ৩৩৩ ও ৩৩৪।
মামলায় ২২ জনকে এজাহার নামীয় গ্রেফতার, ৩৯ জনকে এজাহার নামীয় ও ১৫০ থেকে ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছিল।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশের দায়ের করা গায়েবি মামলায় নিরপরাধ বিএনপির নেতাকর্মীদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আসামিপক্ষের কৌসুলী ছিলেন, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, অ্যাডভোকেট আতাউল হক আন্টু।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
আরএ