ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
সীমান্তে স্থাপনা নির্মাণ নিয়ে মিয়ানমারের দুঃখ প্রকাশ  তমব্রু সীমান্ত, যেখানে বেড়া নির্মাণ করেছে মিয়ানমার। ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ তুমব্রু খালের ওপর পাকা পিলার দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমার। 

দেশটির মংডুতে অনুষ্ঠিত দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বৈঠকে এ দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সোমবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে এ বৈঠক হয়।

 

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান সাংবাদিকদের একথা জানান।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিজের ছবি নিয়ে গেছি, বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে তা দেখিয়েছি। আমরা তাদের বলেছি, আপনারা যে এই ব্রিজের কাজ করছেন আমাদের এ তথ্য দেননি কেন? তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আমাদের বলেছেন-তারা ব্রিজ করছেন না। পাকা পিলার দিয়ে কাঁটা তারের বেড়া সংস্কার করছি। আর কিছু নয়। ’
 
‘তারা আমাদের আরো বলেছেন, ভবিষ্যতে সীমান্তে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, কোনো ধরনের কনস্ট্রাকশনের কাজ করলে আমাদের আগেই জানাবেন,’ বলেন ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ।  

তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে তুমব্রু খালে পাকা স্থাপনা নির্মাণ ছাড়াও  দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ, যৌথ টহল জোরদার, সীমান্তের মাইন অপসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।  

ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ বলেন, তমব্রু সীমান্তের বিষয়টি ছাড়াও বৈঠকে মাদক বিশেষ করে ইয়াবা চোরাচালান রোধ এবং সীমান্তে মাইন পোতা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। ইয়াবা পাচার বন্ধে দুইদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।  

‘এরই মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ইয়াবাপাচার রোধে তৎপরতা শুরু করেছে। সম্প্রতি তিন/চারজন পাচারকারীকে ইয়াবাসহ আটক করেছে তারা। এটি অব্যাহত থাকবে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন। ’

তিনি বলেন, এ বৈঠকে সীমান্তে মিয়ানমারের স্থাপিত স্থলমাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি নাগরিকের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আমরা তাদের কাছে তুলে ধরেছি। তারা বলেছেন, সীমান্তের স্থলমাইন অপসারণে বিজিবি-বিজিপি একযোগে অভিযান চালিয়ে সেগুলো অপসারণ করা হবে।

প্রতিনিধি  দলে অন্যদের মধ্যে বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এসএম আয়েজিদ খান, বিজিবি বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খাঁন, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. আসাদুজ্জামান, রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. জাহিদুর রহমান, আলীকদম ৫৭ বিজিবি ব্যাটলিয়ন কমান্ডার খন্দকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার রিজিয়ন পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মেজর মো. তারেক মাহমুদ সরকার, মেজর মোহাম্মদ বিন সাহিরুল ইবনে রিয়াজ, মেজর জিএম সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিন থিনের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এসবি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।