বৃহস্পতিবার (২৪) বেলা ১১টায় দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ।
পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সমীর রঞ্জন সরকার, পিঠা উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চায়নীজসহ কলেজের শিক্ষকরা।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে আমন্ত্রিত অতিথিরা পিঠার স্টল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে স্টল দিয়ে বসেছেন কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পিঠা উৎসবের শুরু থেকেই ভিড় করেছেন তরুণীরা। কতো নামের যে পিঠাপুলি সাজানো। বাড়িতে এতোসব পিঠা একসঙ্গে তৈরি করা সম্ভব হয় না। কিংবা ব্যস্ততার কারণে করাও হয়ে ওঠে না। যার কারণে পিঠা উৎসব থেকে পিঠা বাসায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে অনেককেই।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক বিকাশ রায় বাংলানিউজকে বলেন, শীতের দিনে দেশের নানা অঞ্চলে পিঠা তৈরি করা আমাদের দেশের ঐতিহ্য। কিন্তু যান্ত্রিক জীবনের কারণে অনেকেই তা করতে পারেন না। পিঠা উৎসবে এসে তারা পিঠার স্বাদও নিতে পারছেন আবার বিভিন্ন পিঠার সঙ্গে পরিচিতও হতে পারছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই বিলুপ্তির পথে। সেগুলোকে টিকিয়ে রাখতে ও সবাইকে পিঠার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ উৎসবের আয়োজন। ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই মেলার উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/