বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দশাবাহী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জামাল উদ্দিন নবগ্রাম এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতারের পর জামালকে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হচ্ছে।
এদিকে, মেডিকেল বোর্ড ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি এমন প্রতিবেদন জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। আলামত না পাওয়ায় ওই গৃহবধূ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
>>>আরো পড়ুন...আবারো নোয়াখালীতে গণধর্ষণ
এরআগে, এ মামলার প্রধান আসামি জাকির হোসেন জহিরের দেওয়া তথ্যমতে ওই গৃহবধূর আত্মীয় আবদুর রব মান্না, হারুন অর রশিদ ও সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জহির আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরো পাঁচজন জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
বর্তমানে ওই গৃহবধূর ৩ আত্মীয় ডিবি কার্যালয়ে চারদিনের রিমান্ডে রয়েছে। ওই গৃহবধূর দাবি এ ঘটনার সঙ্গে রিমান্ডপ্রাপ্ত কেউ জড়িত না। আসামি জহির মনগড়া জবানবন্দি দিয়ে তার নিরপরাধ আত্মীয়দের ফাঁসিয়েছেন। তিনি তাদের অব্যহতি চেয়ে আদালতে একটি আবেদনও করেছেন।
ডাক্তারি পরীক্ষায় আলামত না পাওয়ার বিষয়ে ওই গৃহবধূ বাংলানিউজকে জানান, ওইরাতে তিনজন তার মুখে কম্বল চাপা দিয়ে গণধর্ষণ করেন। শরীরে এখনো নির্যাতনের যন্ত্রণা রয়েছে, চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে তার। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দুইবার চিকিৎসকেরা তার কাছ থেকে আলামত নিয়েছিলেন। ঘটনার দিন তার পরনে থাকা কাপড়গুলো তিনি পুলিশের কাছে জমা দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এনটি