এর আগে সামান্য কথা-কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে আরাফাতকে হত্যা করে মাটিতে মরদেহ পুঁতে ফেলার অভিযোগ উঠেছে সাব্বিরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাব্বিরের মা আউলিয়া বেগম ও ভাই মো. আজিয়ার হোসেনকেও পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
**হত্যার পর মাটিতে পুঁতে ফেলা হলো স্কুলছাত্রের মরদেহ
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার জিবি টাওয়ারের পাশে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগেরদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে আরাফাত নিখোঁজ হয়।
নিহত আরাফাতের মামা এরশাদ হোসেন জানান, পাড়ার বখাটে সাব্বিরের সঙ্গে তার ভাগনের খেলাধুলা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে সাব্বির রোববার রাত সাড়ে ৯টায় আরাফাতকে জেবি টাওয়ারের পাশের পরিত্যক্ত নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাব্বির ওই স্থান থেকে বেরিয়ে আসার সময় এলাকাবাসী আরাফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই আরাফাত নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে স্বজনরা ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ করে।
পরদিন সকালে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ওই পরিত্যক্ত জায়গাটির এক কোণে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি পা দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করলে আরাফাতের স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করে।
নিহত আরাফাতের মামা দাবি করেন, বখাটে সাব্বির আরাফাতকে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দেয়।
নিহত আরাফাত ফেনী পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ছেলে। তারা শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার একটি ভাড়া বাসায় বেশ কিছুদিন ধরে বসবাস করে আসছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা ফেনীর পুলিশ সুপার এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জানান, ধারণা করা হচ্ছে আরাফাতকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে থেতলে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
সাব্বির খুলনা জেলার বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার উত্তর পুলতা গ্রামের সাহাদাত হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে পাঠানবাড়ি এলাকায় একটি বস্তিতে বসবাস করছে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার ক্লু উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএইচডি/আরআর