উদ্ধার হওয়া তিন যুবক পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের কাটাবের গ্রামের ফখরুদ্দিন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (১৬), হরিদাস বিশ্বাসের ছেলে আশিষ বিশ্বাস (১৯) ও চরপাড়া গ্রামের তফিল উদ্দিন সরকারের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১)। আটক অপহরণকারী কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (২২)।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। উদ্ধার হওয়া তিন যুবককে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপহৃতদের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে অপহৃত তিন যুবকের মধ্যে শফিকুলকে বন্ধু পরিচয়ে মোবাইল ফোনে বাদশা (২৫) নামে এক অপহরণকারী ঘোড়াশাল শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকায় ভ্রমণের জন্য আসতে বলেন। পরে শফিকুল তার সঙ্গে জুয়েল ও আশিষকে নিয়ে ঘোড়াশাল শীতলক্ষ্যা ব্রিজের নিচে পৌঁছালে বাদশার সঙ্গে আরও দুই অপরিচিত ব্যক্তি বাদশার বন্ধু বাপ্পী (২৪) ও সাব্বিরকে (২৩) দেখতে পায়। পরে সবাই এক সঙ্গে শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌকায় করে ঘোরাঘুরির কিছুক্ষণ পর কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ইটভাটার কাছাকাছি পৌঁছালে জুয়েল, আশিষ ও শফিকুলকে অস্ত্রের মুখে বাদশা ও তার সহযোগীরা জিম্মি করে ফেলে।
পরে বাদশা মোবাইল ফোনে তার আরও সহযোগী আব্দুল্লাহ (২২), রিয়াসহ (২০) ৪-৫ জনকে উল্লেখিত স্থানে আসতে বলেন। তারা আসার পর বাদশা তার সহযোগী রিয়াকে দিয়ে ধারালো অস্ত্রে মুখে জুয়েল, আশিষ ও শফিকুলের আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে অপহরণকারীরা ওই তিনজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে অপহরণ করে। ওই রাতেই অপহরণকারীরা তিন জনের প্রত্যেকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহৃত পরিবারের লোকজন পলাশ থানায় বিষয়টি জানালে পলাশ পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ থানায় পাঠিয়ে দেয়। পরে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কৌশলে অপহরণকারীদের প্রস্তাবে রাজি হয়। রোববার (২৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে মূলগাঁও গ্রাম থেকে ওই তিন যুবককে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় ঘটনায় জড়িত থাকা এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
জিপি