সোমবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। রোগীর মৃত্যুতে স্বজনরা হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
নিহত বাবুল হোসেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সাহাপুর এলাকার কালামিয়ার ছেলে।
স্বজনরা জানান, দুপুরে বাবুল বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক (মেডিসিন) সালাহ উদ্দিনকে দেখালে রোগীর হার্টের সমস্যা ধরা পড়ে। পরে রোগীকে তিনি ভবানী প্রসাদ রায়ের কাছে পাঠান। কিন্তু তখন হাসপাতালে ভবানী উপস্থিত ছিলেন না। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
একপর্যায়ে অন্য কেউ তার মোবাইলটি রিসিভ করে জানান, তিনি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। পরে তিনি হাসপাতালে আসেন। কিন্ত এর আগেই রোগী মারা যায়।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ভবানী প্রসাদের শহরে ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে। কল পেলে রোগী দেখার জন্য সদর হাসপাতাল ছেড়ে তিনি নিজ চেম্বারে যান। ঘটনার সময় ভবানী প্রসাদ দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার ব্যক্তিগত চেম্বারে অন্যরোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক (ভারপ্রাপ্ত আরএমও) জয়নাল আবেদিন বলেন, রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নোয়াখালী নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
সিভিল সার্জন মোস্তফা খালেদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। কোনো মৃত্যুই আমাদের জন্য কাম্য নয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসআর/আরআর