রোববার (২৭ জানুয়ারি) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার (২৫ জারুয়ারি) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বিসা অকমো এলাকায় দোকান থেকে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তাকে বহনকারী গাড়ির গতিরোধ করে। এ সময় গাড়ি থেকে তাকে জোর করে নামানোর চেষ্টা করে সন্ত্রাসীরা। সিরাজুল ইসলাম বাধা দিতে গেলে তাকে গুলি করলে তার পেট ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
নিহতের ভাই মাসুদুর রহমান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বিসা অকমো এলাকায় আমার ভাইকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এক বছর আগে ওর কাছ থেকে আরেকবার টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছিল সন্ত্রাসীরা।
তিনি আরো বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছালে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। পরিবারের সদস্যরা শিগগির নিহত সিরাজুল ইসলামের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
সন্ন্যাসিরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বলেন, মারা যাওয়ার পর পরই আমরা খবরটি জানতে পারি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। কষ্ট করে বিদেশে উপার্জন করতে গিয়ে এভাবে সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যাওয়ার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। তিনি ছেলেটির মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৮
আরএ