স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসীন আলী বাংলানিউজকে বলেন, চন্ডিপুর ছয়ঘটি গ্রামের শাহাদত হোসেন সোমবার দুপুরে ওই জলাশয় থেকে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিচ্ছিলেন। জলাশয়ের পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়ে মরদেহটি আসকান আলীর বলে শনাক্ত করেন।
আসকান আলীর বড় শ্যালক আব্দুল কাদের পুলিশকে জানিয়েছেন, ঢাকার গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার রাজেন্দ্রপুর এলিগেন্স ওরিয়েন্টাল কোম্পানিতে চাকরি করতেন আসকান। তিনি কিছুদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। তারপর ১০ দিন আগে কর্মস্থলে চলেও যান। তবে সেখানে গিয়ে দেখেন, তিনি যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন, সেই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অন্য কোম্পানিতে চাকরি খুঁজতে থাকেন। তিনদিন আগে আবারও বাড়ি ফিরে এসে এমন কথা জানান আসকান। এর দু’দিন পর থেকে নিখোঁজ হন তিনি। আর আজ জলাশয়ের মধ্যে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে কিভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা বলতে পারছেন না কেউ।
ওসি মহসীন আলী আরও বলেন, গ্রামের লোকজনের ধারণা তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাই ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সন্ধ্যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
এসএস/আরএ