মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনাতয়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এ তথ্য জানান র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে ময়মনসিংহ জেলা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক অপহরণকারীরা হলেন- লোককমান হোসেন (৪০), মো. ফুরকান খাদেম (৩০), মো. চাঁন মিয়া (৩২), আজিজুল হাকিম (২২), খায়রুল ইসলাম ইমন (২২), আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. এরশাদ আলী (২৫)। তাদের সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায়।
রফিউদ্দিন মোহাম্মদ জানান, গত ২৫ জানুয়ারি জিতু মিয়া নামে ওই শিশু বিজয়নগর উপজেলার কাশিমপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। এর দু’দিন পর অপহরণকারী দলের সদস্যরা ভিকটিমের বাবা আল-আমিন মিয়াকে ফোন করে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। পরে শিশুটির বাবা অপহরণকারীদের কাছে জানতে চায় টাকা কোথায় ও কখন দিতে হবে? তখন অপহরণকারীর দলের সদস্যরা জানায় ভৈরবের দুর্জয় মোড় এলাকায় তাদের দু’জন সদস্য দেখা করার সময় তাহাদের হাতে তিন লাখ টাকা দিলে জিতু মিয়াকে মুক্তি দিবে।
এসময় ভিকটিমের মাসহ তার পরিবারের স্বজনরা বিষয়টি র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ককে অবহিত করে। এর প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ আভিযানিক একটি দল দুর্জয় মোড়ে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীর দুই সদস্যকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের দেওয়া তথ্য মতে ময়মনসিংহ জেলার সদর থানাধীন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন বিসিএস কনফিডেন্স হল রুমের ভেতর থেকে শিশু জিতু মিয়াকে উদ্ধার করে। এসময় বাকি পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় অপহরণকারীদের বিজয়নগর থানায় পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
জিপি