নির্যাতিতা নিজেই বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনের নাম উল্লেখ ধর্ষণ মামলা করলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে জেলা শহরের ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি এলাকায় আমিরুর ইসলামের পরিত্যক্ত এক মেসে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতাররা হলেন- জেলা সদরের ভবানীপুর গ্রামের ইউনুস সেখের ছেলে সুজন (২২), আক্তার ফকিরের ছেলে আলামিন (২৪), নারু কুমার সরকারের ছেলে আকাশ (২৪), আবুল ব্যাপারীর ছেলে বাবু (২৮) এবং বড় লক্ষ্মীপুর গ্রামের খালেক প্রামাণিকের ছেলে ফজলু (৩২)। অপর আসামি মোস্তফা পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনমাস আগে বিনোদপুর ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি এলাকার সুজনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুজন বিবাহিত জানার পর সে সুজনকে এড়িয়ে চলতো। ঘটনার দিন সে রেল লাইন ধরে হেঁটে যাবার সময় সুজনের সঙ্গে দেখা হয়। বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে জানিয়ে সুজন তাকে নিয়ে ড্রাই আইচ ফ্যাক্টরি এলাকার আমিরুল ইসলামের পরিত্যক্ত মেসের সামনে নামিয়ে দেয়। এরপর সুজন তার মায়ের সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গে কথা বলবে বলে তার বন্ধুদের কাছে রেখে চলে যায়। সুজনের বন্ধুরা তাকে পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বাংলানিউজকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী ছয় জনকে আসামি করে সোমবার রাতে মামলা করেছে। পুলিশ পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে। আরেক আসামি মোস্তফাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৯
জিপি