সজলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার হয়েছে দাবি করে নিহতের বাবা শাহ আলম জোমাদ্দার বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) কাঁঠালিয়া থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীর বাবাসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, সজল জোমাদ্দার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার নদমুলা গ্রামের শাহ আলম জোমাদ্দারের ছেলে। তিনি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বসবাস করতেন। গত ২২ জানুয়ারি তাকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরবর্তীতে ২৬ জানুয়ারি দুপুরে কাঁঠালিয়ার বীণাপানি গ্রাম থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গলায় ঝুলানো একটি কাগজে লেখা ছিল, আমার নাম সজল। ধর্ষণের কারণে আমার এ পরিণতি।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গত ১৭ জানুয়ারি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থানায় তার ছেলে সজলের নামে একটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলার বাদী ও তার লোকজন মিলে সজলকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, এজাহারটি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএস/এএটি