বুধবার (৩০ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরে গত ক’দিন ধরে তীব্র শীত শুরু হয়েছে।
দিনে সূর্যের দেখা মিললেও বিকেল সাড়ে ৪টা বাজতেই বাড়তে থাকে শীত ও বাতাসের তীব্রতা। রাত হতে না হতেই শহরের হাট-বাজার জনশুন্য হয়ে যায়।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন (৬৭) বাংলানিউজকে জানান, তীব্র ঠাণ্ডায় আমরা ঠিক মত কাজ করতে পারছিনা। অভাবের সংসারে কাজ না করলে কে খাওয়াবে। দিন আনি দিন খাই।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, শৈত্য প্রবাহের কারণে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা নিউমোনিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
দিনাজপুরের আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বুধবার ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই রকম আবহাওয়া আরও ৩/৪ দিন থাকবে।
তিনি আরো বলেন, এই শৈত্য প্রবাহ কমে গেলে আর বড় কোনো শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে এরই মধ্যে ৩৭ হাজার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে ৬৫ হাজার পিস কম্বল পাওয়া গিয়েছিল। যা দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ভাণ্ডারে কিছু শীতবস্ত্র রয়েছে। যা জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের লোকজন রাতে শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করছেন। শীতের তীব্রতা থেকে অসহায় মানুষকে রক্ষা করার জন্য আরও ৫০ হাজার পিস কম্বল চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
আরএ