বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেটের জননিরাপত্তা আদালতে বিচারক জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক মামলার আসামি ৩ জঙ্গির উপস্থিতিতে এবং পলাতক এক আসামির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
এসময় মামলার আসামি জেএমবি নেতা মুফতি মইন উদ্দিন, আব্দুল মাজেদ ভাট, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মহিবুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জননিরাপত্তা আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, হামলার ঘটনায় এদিন বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার (নম্বর-৫২/১৬) অভিযোগ গঠন করা হয়। এছাড়া আরেক মামলায় (দায়রা ১১৮৬/১৬) সাক্ষ্যগ্রহণ ছিল। কিন্তু আদালতে সাক্ষীরা হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
আদালতের বরাত দিয়ে এসএসমপির সহকারী কমিশনার (এসি প্রসিকিউশন) জানান, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালালের (র.) মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার দাস বাদী হয়ে ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২/৩৪ ত’সহ হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। যার জিআর নম্বর-৪১৫/০৪।
এ মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৩ মে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র (নম্বর-৮৮) দাখিল করেন সিআইডি জোন হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা। মামলার চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার পর থেকে ৬৪ সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
তবে, ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলার অপর তিন আসামি জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান ওরফে আবুল কালাম, শরীফ সাহেদুল ইসলাম বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপন অন্য মামলায় ফাঁসি আদেশ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে তাদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/