বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত গভীর রাতে নগরের দাঁড়িয়াপাড়া গেষনা বি ২৬/১ বাড়ির নীচতলায় অভিযান চালিয়ে এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া রিমা বেগম নামের এক নারীকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৯) সদস্যরা।
এ ঘটনায় র্যাবের দায়ের করা একটি মাদক ও মানবপাচার মামলায় রোকন ও রিমা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনির আহমদ। আদালত শুনানি শেষে তাদের তিনদিনের রিমান্ড দেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এসআই রোকন উদ্দিন ও রিমা বেগমকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
র্যাব-৯’র অতিরিক্ত পরিচালক (মিডিয়া) মো. মনিরুজ্জামান জানান, উদ্ধার হওয়া দুই কিশোরীকে ওই বাসায় আটকে রেখে পতিতাবৃত্তির মাধ্যমে টাকা রোজগার করতে এসআই রোকন।
আটক এসআই রোকন ও রিমা বেগম সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে সুন্দরী নারী, কিশোরী ও শিশুদের ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ইয়াবা সেবনের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করতো বলে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই রোকন উদ্দিন ভূঁইয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বুধবার (৩০ জানুয়ারি) চাকরি থেকে বরখাস্তসহ তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের সুপারিশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এনইউ/ওএইচ/