ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারায়ণগঞ্জে চাঙ্গা ফুল ব্যবসায়ীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
নারায়ণগঞ্জে চাঙ্গা ফুল ব্যবসায়ীরা ফেব্রুয়ারি মাসটিকে ঘিরে ফুলের বেচা-বিক্রি জমজমাট। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: ফুল ভালোবাসা, সৌন্দর্য, বিশুদ্ধতা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ফেব্রুয়ারি মাসটি একদিকে যেমন ফাল্গুনের, ভালোবাসার, অন্যদিকে শ্রদ্ধার। এ মাসে ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন ও ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর বিশেষ দিন রয়েছে। মাসটিকে ঘিরে তাই ফুলের বেচা-বিক্রি হয় জমজমাট। এ মাসটি ফুল ব্যবসায়ীদের জন্য ‘সিজন’ হিসেবে খ্যাত।

নারায়ণগঞ্জে প্রতি বছরের মতো এবারও ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ফুল ব্যবসায়ীরা বিশেষ প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। এ মাসের শুরু থেকেই ভালোবাসার বিভিন্ন বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে প্রিয়জনকে ফুলের উপহার দিতে মানুষ ফুল কিনে থাকেন।

নব দম্পতি থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সংসারেই প্রিয়জনকে বিশেষ দিনে ফুল দেওয়াটা যেন ভালোবাসার এক অন্যরকম প্রকাশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারি বিয়ের জন্যও বিশেষ মাস, এ মাসে অনেক বিয়ের আয়োজনও হয়ে থাকে।

শহরের চাষাঢ়া, বঙ্গবন্ধু সড়ক ও ডিআইটি এলাকার একাধিক ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এ বছরও প্রতি বছরের মতো এ মাসকে টার্গেট করে ইতোমধ্যে পাইকারি বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগে থেকেই ফুলের অর্ডার দিয়ে রাখছেন তারা। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দরেও ফুল চাষিরা নিজেদের বাগানের ফুল আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির জন্য কথা বলে রাখছেন।
 ফেব্রুয়ারি মাসটিকে ঘিরে ফুলের বেচা-বিক্রি জমজমাট।  ছবি: বাংলানিউজ
এ মাসে অন্যরকম চাহিদা থাকে গাঁদাফুল, জারবেরা, গোলাপ, বিভিন্ন ধরণের গ্লাডিয়াস, রজনীগন্ধা ফুলের। পাইকারি বাজার থেকে ১ হাজার গাঁদাফুল ৮০ টাকায়, ১ হাজার জারবেরা ৬০০ টাকা, একশ’ গোলাপ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বিভিন্ন ধরণের গ্লাডিয়াস গড়ে ১০০টির দাম ৭০০ টাকা, রজনীগন্ধা ১০০টির দাম ১ হাজার টাকা দরে কিনে আনেন বলে জানান ফুল ব্যবসায়ীরা।

নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি এলাকায় ফুল ব্যবসায়ী সাফিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আগে থেকেই আমরা ফুল ব্যবসায়ী ও পাইকারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে রেখেছি কারণ পরে দেখা যায় ফুলের দাম অনেক বেশি দিয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। আর বেশি দামে কেনার ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। এবার আশা করি কিছুটা কম দামেই আমরা ফুল বিক্রি করতে পারবো।  

তিনি আরো বলেন, এ মাসে ফুলের প্রচুর চাহিদা থাকে। অনেক সময় এ চাহিদা আমাদের পক্ষে মেটানোও সম্ভব হয়না। মাসের শুরু থেকেই ফুলের বেচা-বিক্রি বেড়ে যায়। এ মাসটিকে আমরা আমাদের ব্যবসায়ের ‘সিজন’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।