শুক্রবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের করতোয়া নদীর কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রেহেনা খাতুন গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নের কুড়িটাইকা গ্রামের শাকিল মিয়ার স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, ১০ বছর আগে শাকিলের সঙ্গে রেহেনার বিয়ে হয়। তাদের ৯ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে রেহেনার সঙ্গে শাকিলের পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ চলছিল। গত সোমবার থেকে রেহেনা নিখোঁজ হন। নিজ বাড়ি ও স্বামীর বাড়িতে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে মরা করতোয়া নদীর কচুরিপানার নিচে রেহেনার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, রেহানার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী শাকিল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে রেহেনাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে রাখে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী শাকিল মিয়া তার সন্তানকে নিয়ে পলাতক রয়েছেন। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রেহেনার শ্বশুর এজাদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া স্বামী শাকিল মিয়া ও জড়িতদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় রেহেনার পরিবারের পক্ষ থেকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
এনটি