শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় উপজেলার দক্ষিণ সাঙ্গর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিমক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াহিয়া চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধ ছিল সাবেক ইউপি সদস্য মাহফুজ মিয়ার। শুক্রবার মাহফুজ মিয়ার পক্ষের এক নারী স্থানীয় পঞ্চায়েতের পুকুরে গোসল করতে যান। এ সময় ইয়াহিয়া পক্ষের এক যুবক তাকে সরে গিয়ে গোসল করতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নারীসহ শতাধিক আহত হন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আহতদের মাঝে টেঁটাবিদ্ধ হাফিজুল মিয়া (২৫), লাউছ মিয়া (৩২), আহাদুর রহমান (৩০), মোশাহিদ মিয়া (৩২), আব্দুল হেকিম (৪০), শানু মিয়া (৭০), লাকী বেগম (২৫) এবং সুমনা বেগম (৪৫)সহ ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতদের হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, আহতদের ভর্তি করে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়া যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের সিলেটে পাঠানো হয়েছে।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৯
আরএ