শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার দিকে রেল যোগাযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে দুর্ঘটনা ঘটার ৬ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টা থেকে ব্রডগেজ ট্রেন চলাচল করলেও মিটারগেজ লাইনের ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের আগে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। প্রথমে ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে পড়ে এবং এতে আগুন ধরে যায়। পরে আরও ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এসি কোচসহ দু’টি বগিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক আড়াইশ মিটার রেলসড়ক নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সব ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকার ৪টি লেনের মধ্যে দু’টি ব্রডগেজ লেন সচল করা হয়। এতে ব্রডগেজের ট্রেন চলাচল শুরু হলেও মিটারগেজের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ দুর্ঘটনায় প্রথম লাইনের প্রায় ২শ’ মিটার সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দ্বিতীয় লাইনের অন্তত ৫০ মিটার আংশিক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল দুপুরে দুর্ঘটনা ঘটার ২৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়। অপরদিকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত প্রথম লেনটি সংস্কার করতে আরও একদিন সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
আরএ