ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনও থাকতে ১৮০, চলে গেলেই ২১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
ইউএনও থাকতে ১৮০, চলে গেলেই ২১০ বাজারে ইউএনও’র অভিযান। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: সারাদেশের মতো বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলোর বিভিন্ন হাট-বাজারেও পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ২১০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আচমকা অভিযানে নামেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার। তার অভিযান শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ৩০ টাকা কমে যায় পেঁয়াজের দাম। তবে, এই সুখ(!) বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ক্রেতাদের। ইউএনও বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ফের দুইশ’ ছাড়ায় পেঁয়াজ দর।

জানা যায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে এই অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও শারমিন আখতার। অভিযানকালে সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২১০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়।

ইউএনও ফিরে যাওয়ার পর আবারও বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। ফলে অনেক ক্রেতাই মলিন মুখে পেঁয়াজ না কিনেই ফিরে যান।  

দাম কেন বেড়েছে জানতে চাইলে বিক্রেতা আব্দুল মোমিনসহ অন্যরা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই। দেশি পেঁয়াজের মজুদও প্রায় শেষ। তাই দাম বেড়েছে।

ক্রেতা আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২১০ টাকায়। কিছুটা খারাপ মানের ছোট পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম অতিরিক্ত বাড়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
কেইউএ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।