ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কেশবপুরের বিতর্কিত ইউএনও মিজানূর রহমানকে অবশেষে বদলি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
কেশবপুরের বিতর্কিত ইউএনও মিজানূর রহমানকে অবশেষে বদলি মো. মিজানূর রহমান

যশোর: যশোরের কেশবপুরে নানাভাবে বিতর্কিত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানূর রহমানকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে মিজানূর রহমানকে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুরে বদলি করা হয়েছে।

আগামী দুয়েকদিনের মধ্যেই কেশবপুরে নতুন ইউএনও’র পোস্টিং দেওয়া হবে।

এর আগে, ইউএনও মিজানূর রহমান ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট কেশবপুরে যোগদান করেছিলেন। দীর্ঘ দুই বছর তিন মাস দায়িত্ব পালনকালে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে তিনি উপজেলাব্যাপী সমালোচিত হয়েছেন।

চলতি বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেশবপুরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সরাসরি বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন প্রার্থী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোট চলাকালীন এক সপ্তাহ মিজানূর রহমানকে কেশবপুর থেকে প্রত্যাহার করে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তবুও সতন্ত্র প্রার্থী আনারস পাশ করায় নৌকার প্রার্থী অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, ইউএনও’র ভোট মেকানিজমের প্রভাব ভোটের ওপর পড়েছে।

এছাড়াও, সম্প্রতি হিন্দু ধর্মালম্বীদের প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে গালিগালাজ ও কটূক্তির গুরুতর অভিযোগ ওঠে ইউএনও’র বিরুদ্ধে।

এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন ও শৃঙ্খলা অধিশাখার উপ-সচিব মো. ছাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে ঘটনাটি খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে গত ১৩ নভেম্বর যশোরের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. নূর-ই-আলম কেশবপুরে এসে তদন্ত সম্পূর্ণ করেন।

কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পদে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নেতারা একাধিক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়েও ব্যক্তিগত কথা সৃষ্টি করে খোদ আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতৃবৃন্দকে মাইনাস ফর্মুলায় রাখা, আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ক্লিন ইমেজের নেতাদের পরিবর্তে সরকারি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির পদে বসানো, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অহেতুক হস্তক্ষেপ, ব্যক্তিগত ইচ্ছামতো আইন চালু করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে গোটা কেশবপুরে ‘ইউএনও’র কথাই শেষ কথা’ এমন পর্যায়ে চলে এসেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
ইউজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।