শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- নাহিদ ও আসিফসহ মারধরকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ করা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সোহরাব হোসেনের চিকিৎসাভার বহন করা।
অবরোধ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের মারমুখী আচরণ যেন বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের এর আগেও ছাত্রলীগ মারধর করেছে। কিন্তু এসব ঘটনার কোনো বিচার আমরা পাইনি। ছাত্রলীগও এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিচারের নামে বহিষ্কারের নাটক করে ছাত্রলীগ। কাউকে বহিষ্কার করলেও কিছুদিন পর আবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও নিশ্চুপ ভূমিকায়। তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও বরাবরের মত দেখছি বলেই দায় এড়িয়েছেন তারা’।
এর আগে, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে সোহরাব হোসেনকে শহীদ শামসুজ্জোহা হলে ডেকে নিয়ে ল্যাপটপ চুরির অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ ও নাহিদ। মারধরে সোহরাবের মাথা ফেটে যায় ও বাম হাত ভেঙে যায়। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ