নিহত আমির জেলার চাটমোহরে ‘ইসলামিক হাসপাতাল’ নামের একটি ক্লিনিকের মালিক এবং চাটমোহর উপজেলার আফ্রাতপাড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
রিকশায় করে যাওয়া সময় রোববার (১৭ নভেম্বর) দিনগত রাত একটার দিকে ঈশ্বরদী-লালপুর সড়কের বিমানবন্দর রোডের রেঁনেসা ক্লাবের সামনে তিনি এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
চলতি বছরের ১১ নভেম্বর পাবনার চাটমোহরে ‘ইসলামিক হাসপাতাল’ ক্লিনিকে তাসলিমা খাতুন নামে এক প্রসূতির অপারেশনকালে মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর বাবা মজনুর রহমান মজনু বাদী হয়ে চাটমোহর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত আমির হোসেন ওই মামলার প্রধান আসামি এবং ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স’র স্টেশন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, রিকশায় করে রেলগেট থেকে স্টেশন যাচ্ছিলেন আমির হোসেন। পথে রিকশাটিকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাটি উল্টে যায়। এতে তিনি মাথায় আঘাত পান। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা আহতাবস্থায় আমির হোসেনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, প্রচুর রক্তক্ষরণে অনেক আগেই আমির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এএটি