জানা যায়, ১৯৭১ সালের মে মাসে হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার দোসরদের নিয়ে দুই দফা শিবচরের ৩০ জন নিরীহ নারী-পুরুষকে হত্যাসহ ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে ও স্থানীয় থানায় ঘাটি গাড়ে। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা শিবচর বাজারে অবস্থিত হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প গুড়িয়ে দেন।
২৪ নভেম্বর মধ্য রাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাসহ ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনী ও রাজাকারদের আশ্রয়স্থল শিবচর থানা মুক্ত অপারেশন শুরু করে। প্রায় ১৭৫ জন মুক্তিযোদ্ধা হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা স্থায়ী যুদ্ধে ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করেন। এ যুদ্ধে শিবচরের আব্দুস ছালাম, ভাঙ্গা উপজেলার কমান্ডার মোশাররফ হোসেন, সদরপুরের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন ও সহযোগী ১১ বছর বয়সের শিশু ইস্কান্দারসহ চারজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে ১৮ জন ঘাতক হানাদার ও রাজাকার নিহত হন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শাজাহান চৌধুরী জানান, শিবচর মুক্ত দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এনটি