ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণ-হয়রানি প্রতিরোধে আলাদা তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
ধর্ষণ-হয়রানি প্রতিরোধে আলাদা তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন সভায় বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: নারী এবং শিশুসহ ধর্ষণ এবং হয়রানি প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি থানায় একজন আলাদা তদন্ত কর্মকর্তা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডায়লগ অন অ্যাকশন আগাইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার বলেন, ধর্ষণের একটি মামলা করার জন্য যখন একজন ভিকটিম থানায় যান তখন দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে তদন্ত করতে গিয়ে ওই থানাতেও তিনি আরও একবার ধর্ষণের শিকার হন।

আবার পূর্বের ধর্ষকও ওই ভিকটিমকে মোবাইলে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় হয়রানি করে থাকে। এমতাবস্থায় অনেক পুলিশ সদস্য কর্মকর্তাই সাইবার ক্রাইম এবং ধর্ষণের অভিযোগে আলাদা আলাদা মামলার প্রস্তুতি দায়ের করেন। কিন্তু প্রতিটি থানায় যদি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আলাদা একজন কর্মকর্তা থাকেন শুধুমাত্র এ বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য তবে এগুলো আরও দ্রুত এবং সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হতো।

সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত জেলা জজ এসএম নাহিদা নাজমিন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন।

সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. আবুল হোসেন।

সভায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, একটি ধর্ষণের মামলা প্রস্তুতির জন্য আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দুপুর ২টার পরে কোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এজন্য অনেক সময়ই মামলার প্রস্তুতিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তারপরেও আমরা সব সময় চেষ্টা করি এই ধরনের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য।

নাহিদা নাজমিন বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য। মামলার রায়ের বিষয়গুলো যদি আমরা সবার সামনে পরিষ্কার করতে পারি তাহলে সচেতনতা আরও বাড়বে।

সভায় বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আরও বাড়ানো এবং তা অব্যাহত রাখা, নারীদের চুপ করে না থেকে কথা বলা, চিকিৎসক এবং নার্সদের আলাদা প্রটোকলসহ ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সচেতন হতে পারাটাই সব থেকে বড় ব্যাপার।

আরও পড়ুন>
ইজি টার্গেট হওয়ায় শিশু-ধর্ষণ বেশি

বংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।