ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যুৎখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে দাম বাড়ানোর দরকার হবে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
বিদ্যুৎখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে দাম বাড়ানোর দরকার হবে না

ঢাকা: বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখাতকে দুর্নীতিমুক্ত করলে দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিদ্যুতের মূল্য নতুন করে অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। সমাবেশটির আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ নামে একটি সংগঠন।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, বর্তমানে জীবন-যাত্রার ব্যয়সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বেই আজ জীবন-যাত্রা ব্যয় কমানোর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে। আমাদের দেশে বাজার ব্যবস্থা লাগামহীন। এর মধ্যে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করলে আগুনের মধ্যে ঘি ঢালার ব্যবস্থা হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বর্তমান সময়ে যথোপযুক্ত নয়।  

সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দুর্নীতি ও ভুলনীতিতে লাগামহীন বিদ্যুৎখাত। দুর্নীতি উচ্ছেদে কোনো পদক্ষেপ নেই। অথচ অযৌক্তিকভাবে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে।  

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি চলমান। এই দুর্নীতিরোধ করতে পারলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। তিনি বলেন, বিইআরসি বিদ্যুতের অযৌক্তিক উৎপাদন খরচ, বিতরণ, ব্যয় কমানোয় কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। এরা সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গণশুনানির নাটক করে। তাই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা রুখে দাঁড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, জনগণের মতামতের মূল্যায়ন করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করা হোক।  

সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পী সরদার বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উপর সরকারের জোর দেওয়া উচিত। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দ্রুত বন্ধ করা হোক।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতি চরমভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। নিয়োগ, ক্রয়, উৎপাদন, সঞ্চালন ও সেবাখাতে চরম দুর্নীতি বিরাজ করছে। গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানলাম গত ১২ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কোনো প্রকার বিদ্যুৎ সরবরাহ না করেও ৫৩ হাজার কোটি টাকা পিডিপি’র কাছ থেকে নিয়েছে। জনগণের কাছে এভাবে অর্থ আদায় করে অনৈতিকভাবে কতিপয় ব্যক্তিকে সুবিধা দেওয়া কাম্য নয়।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য হুমায়ুন কবির হীরু, কর্মসংস্থান আন্দোলনের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ডিপিপি’র মহাসচিব কাজী আমান উল্যাহ মাহফুজ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।