ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা

ঢাকা:  আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা-ইউএনএইচসিআর যৌথভাবে এ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। এখন নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রায় সমাপ্তের পথে। 

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইউএনএইচসিআর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।  

এতে বলা হয়, ইউএনএইচসিআর-এর ডেপুটি হাইকমিশনার কেলি ক্লেমেন্টস বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে তার চারদিনের সফর শেষ করেছেন।

কক্সবাজারের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি চলমান মানবিক কার্যক্রম ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তায় নতুন অনুদানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।  

তিনি তরুণ ও নারীসহ অনেক শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেলি ক্লেমেন্টস ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  

শরণার্থী ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের উদার মানসিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান কেলি। তিনি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সামনের বছরেও বাংলাদেশের নেতৃত্বকে সাহায্য করা, সব অংশীদারি সংস্থার কাজের প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং এর সঙ্গে ভাষান চর নিয়ে সরকারের সঙ্গে যেকোনো সময় গঠনমূলক আলোচনায় বসার জন্য ইউএনএইচসিআর-এর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

কেলি ক্লেমেন্টস মিয়ানমার সরকার ও অন্যান্য সবপক্ষের সঙ্গে মিলে শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরিতে কাজ করার জন্য ইউএনএইচসিআর-এর প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।

এদিকে সরকারের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর-যৌথভাবে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। এ পর্যন্ত ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে।

কেলি ক্লেমেন্টস শেষবার বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে। এবারের সফরে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় মানবিক কর্মকাণ্ডের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন।  

সম্প্রতি কুতুপালং নিবন্ধন সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় কেলি ক্লেমেন্টস বলেন, শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্য নিবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি বিরাট অর্জন। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও মানবিক সাহায্য পুরোপুরি নিশ্চিত করা যাবে। এদের অনেকের জন্যই এটি তাদের সারা জীবনে পাওয়া প্রথম পরিচয়পত্র।

রোহিঙ্গাদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৯
টিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।