বুধবার (২৭ নভেম্বর) রায়ের পর আদালত থেকে বের হয়ে এলে কয়েকজন জঙ্গির মাথায় ওই টুপি দেখা যায়। তবে টুপি পৌঁছানোর মাধ্যম প্রসঙ্গে প্রাথমিকভাবে কেউ নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে টুপি বিষয়টি তদন্তের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিকেলেই কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (২৮) নভেম্বর ডিএমপির তদন্ত কমিটি জানায়, কারাগার থেকে আসামিরা পকেটে করে এ টুপি আদালতে এনেছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
পড়ুন>>‘আইএস’র দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই হলি আর্টিজানে হামলা’
** এজলাসে ‘আইএসের টুপি’ পরার বিষয়টি তদন্ত করা উচিত
কমিটির প্রধান ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রিগ্যান কারাগার থেকে পকেটে করে টুপি নিয়ে আদালতে এসেছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে আরো কারা জড়িত বিষয়টি তদন্তের পর স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।
দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) আট আসামির ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।
রায়ের পর আদালত থেকে বের করে আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কয়েকজনের মাথায় আইএস'র প্রতীক সংবলিত টুপি দেখা যায়।
এ সময় আসামিরা 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করে এবং এ রায় মানে না বলেও অকথ্য ভাষায় কথা বলতে থাকে। এ সময় জঙ্গিদের মাথায় আইএস'র টুপি এবং তাদের 'আস্ফালনে' বিস্মিয় প্রকাশ করেন বিভিন্ন মহল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
পিএম/এমএ