ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমে যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হলে নারীর প্রতি সহিংসতা কমে যাবে

ঢাকা: অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে নারীর প্রতি অপরাধ আরও কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আইনের বিষয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারী এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান ইয়ুথ ক্লাব মাঠে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এক ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ‘১৬ ডেজ অ্যাকটিভিজম- অরেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন প্রথমবারের বাংলাদেশে শুরু করেছে ডিএনসিসি।

নারীদের প্রতি সহিংসতারোধে সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছরের ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দিনব্যাপী এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এর অংশ হিসেবে দুই দিনে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বাংলাদেশে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, এ কে রহমত উল্লাহ, অপরাজিতা হক, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিদসেল ব্লেকেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলতা স্কলাইটার।   

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী এই কর্মসূচি উদযাপিত হয়ে আসছে। নিরাপদ পরিবেশ এবং নারীবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এমন সচেতনতামূলক উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের জন্য সুন্দর নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

দেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতারোধে শক্তিশালী আইনি কাঠামো আছে বলে উল্লেখ করেন স্পিকার। সম্প্রতি নুসরাত হত্যা মামলার রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতারোধে এবং সহিংসতা হয়ে গেলে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের শক্তিশালী আইনি কাঠামো রয়েছে। আপনারা দেখবেন, নুসরাত হত্যা মামলার রায় অতি দ্রুতসময়ে দেওয়া হয়েছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারলে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে নারীর প্রতি অপরাধ আরও কমে যাবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। নারী এবং দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।  

ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বিশেষ সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের জন্য কাজ করছে ডিএনসিসি। আমাদের এলাকার আওতাধীন সব দোকানে আগামী ছয় মাসের মধ্যে র্যামপ (প্রতিবন্ধীদের ওঠানামার জন্য) লাগাতে হবে, যেন হুইলচেয়ারে করে মানুষজন দোকানে প্রবেশ করতে পারে। নারীদের প্রতি সহিংসতারোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে আজ থেকে অভিযোগ বক্স দিচ্ছি আমরা। মাসে একবার করে সেগুলো খোলা হবে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। অভিযোগকারী নারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে। এভাবে সবাইকে নিয়েই আমরা আমাদের বাসযোগ্য ঢাকা গড়ে তুলবো।  

আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এসডিজি বা সাসটেইনেবল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে প্রয়োজন সাসটেইনেবল পিস। সাসটেইনেবল পিসের জন্য চাই সাসটেইনেবল সিকিউরিটি। সেই সিকিউরিটি নিশ্চিতেই কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। আর নারীদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা আপসহীন।  

নারী ও বিশেষসুবিধা বঞ্চিত মানুষদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯৯১ সাল থেকে এই ক্যাম্পেইন পালিত হয়ে আসছে। সেন্টার ফর ওমেন্স গ্লোবাল লিডারশিপ এই কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।