ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে সমাবেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে সমাবেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করেছে সবুজ আন্দোলন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পৃথিবীর সব দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা উৎপাদনের জন্য প্রথমে পাউডারে বিচূর্ণ করা হয় চক্রের কনভেয়র যা পরবর্তীকালে বয়লারে যাওয়ার আগে পালভারাইজড হয়।

এখানে চিমনি হয়ে কয়লা পুড়ে ধোঁয়া বের হয় আর ভস্মীভূত ছাই নিচ দিয়ে নির্গত হয়। অন্যদিকে পানি থেকে রূপান্তরিত বাষ্প টার্বাইনে উচ্চচাপে প্রবেশ করে যেখানে হাজার প্রোপেলারকে সে হাইস্পিডে ঘুরাতে থাকে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই বাষ্প টার্বাইন থেকে আবার কনডেন্সারে কনডেন্সড হয়ে পুনরায় বয়লারে যায় আরেকবার ব্যবহৃত হতে। এই সহজ চক্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো তার উৎপাদন চক্র শেষ করে। এখানে পরিবেশ দূষণের উপাদান নির্গত হয় চিমনি দিয়ে, পানির সঙ্গে ও ভস্মীভূত ছাই হিসেবে। যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এইখানে ওই পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হলেও আমাদের জানা মতে দুনিয়াজুড়ে চিমনি দিয়ে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ার কোনো  প্রকার ট্রিটমেন্ট করা হয় না।

উন্নত দেশগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে আসছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে সারাবিশ্বের মোট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সিংহভাগ চীন ও ভারতে নির্মিত হয়েছে। যদিও বর্তমানে চীন ও ভারত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ যথেষ্ট কমিয়ে দিয়েছে। সরকার চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চাচ্ছে। যা দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনবে। আমরা সরকারকে নতুন করে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ না করার জোর আহ্বান জানাচ্ছি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে প্যারিস চুক্তি মেনে চলতে বাধ্য হয় সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ প্রয়োগ করতে আমরা বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানাই। তাই আমরা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হোক। জলবায়ু সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্রগুলোকে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি ড. রুহুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার, আন্তর্জাতিক পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এসই/এফএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।