এছাড়া একই অপরাধে কেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে না তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেলায়েত হাসান জানান, হোল্ডিং কর নির্ধারণের বিষয়ে অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে সংক্ষুদ্ধ কয়েকজন গ্রাহক সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরাবর আবেদন করেন। আবেদনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে মেয়র এ ব্যাপারে নিজেই উদ্যোগী হন এবং তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তেই ব্যাপক অনিয়মের বিষয়টি তার সামনে চলে আসে। তদন্তে দেখা যায়, হোল্ডিং কর নির্ধারণে অনেক ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম-নীতি ও আইনের তোয়াক্কা করা হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্থাপনার পরিবর্তন না হলেও গ্রাহককে নোটিশ দিয়ে তাদের করের পরিমাণ কয়েকশ’ গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে। যার ধারাবাহিকতায় চিফ অ্যাসেসরকে বৃহস্পতিবার চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, অনিয়মের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেয়র কর নির্ধারণ বোর্ড কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনসংযোগ কর্মকর্তা।
সূত্রে জানা গেছে, চিফ অ্যাসেসরের দায়িত্ব পালনকালে আজম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন সময়ে একক ক্ষমতাবলে কর নির্ধারণ বোর্ড বসিয়ে অবৈধভাবে কর ধার্য করেছেন। যা বিসিসির চাকরি বিধিমালার ৩৮ এর (খ) ধারার অপরাধ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, মেয়র গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনিয়ম করে কেউ পার পাবে না। তদন্তে অনিয়মের ক্ষেত্রে আর কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিসিসির কারো ভুলে কোনো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেই গ্রাহকের দেওয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএস/আরবি/