শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে।
এরআগে বরিশাল নগরের পোর্ট রোড আবাসিক হোটেল গ্রান্ড প্লাজায় বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন সোহরাব হোসেন সিকদার।
রাতেই তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সোহরাব হোসেন সিকদার বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী সিকদারের ছেলে। তিনি টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে সোহরাব হোসেন সিকদার হোটেলে ওঠেন। হোটেলের ম্যানেজারের কাছে কক্ষ নেওয়ার সময় ওই নারীকে স্ত্রী বলে পরিচয় দেন। হোটেলের রেজিস্ট্রারে তাই লেখা রয়েছে। ১০১ নম্বর কক্ষে তারা অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাব হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা নারীর কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মৃতের শ্যালকের বান্ধবী বলে পরিচয় দেয়।
প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনে সোহরাবের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয় এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেন বলে জানান ওই নারী। তবে তাৎক্ষণিক বিয়ের কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মৃত ব্যক্তি পরিহিত পোশাকের পকেটে যৌন উত্তেজক ওষুধ পাওয়া গেছে। যৌন উত্তেজক বড়ি সেবন করায় অতিমাত্রায় উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এমএস/এএ