বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে টুম্পাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে টুম্পা। পরিবার থাকে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায়। চার বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি।
টুম্পার ছোটবোন আয়শা আক্তার জানান, শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির বিবিএ ফাইনাল ইয়ারে পড়তেন টুম্পা। দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর গত দুই মাস আগে সাফখাত হাসান রবিন নামে এক যুবককে বিয়ে করেন। তিনিও কুড়িল চৌরাস্তা এলাকারই বাসিন্দা।
তিনি আরও জানান, রবিন মাদকাসক্ত ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক সমস্যা লেগেই ছিল। গতকাল টুম্পাই তার বাবা-মাকে ফোন করে তাকে আনতে যেতে বলেন। পরে তার খালা নাজমা তাকে আনতে যান। আনার পথে চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে পেছন থেকে টুম্পার পিঠে রবিন ছুরিকাঘাত করেন।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতেই ঢাকা মেডিক্যালের আইসিইউতে ভর্তি নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত জানার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এজেডএস/এএ