শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের বকচরা মোড় এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত দ্বীপ আজাদ সাতক্ষীরা শহরের মুন্সিপাড়া এলাকার মইনুল ইসলামের ছেলে।
এদের মধ্যে দীপ সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানের দেহরক্ষী ও মুন্সিপাড়া এলাকার সোহাগ হত্যা মামলার আসামি। অন্যদিকে সাইফুল ছিলেন অস্ত্রধারী ক্যাডার।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দ্বীপ আজাদ ও সাইফুল ইসলাম চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। কালিগঞ্জের এক ব্যক্তির ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই, খুনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দ্বীপ ও সাইফুল জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) এবং কালিগঞ্জ থানা পুলিশ দ্বীপ ও সাইফুলকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার দিনগত রাতে অস্ত্র উদ্ধারে বকচরা মোড় এলাকায় যায় তারা। পুলিশ আসামিদের নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছালে তাদের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয় দ্বীপ ও সাইফুল। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তারা মারা যান।
ঘটনাস্থল থেকে দুইটি বিদেশি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯/আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা
এসএ/এএ/