কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টা থেকে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে ধর্মঘট পালন শুরু করেন।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদীবন্দর নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৭টি রুটে ৭০টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে থাকলেও শনিবার (৩০ নভেম্বর) নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকেই গুটিকয়েক লঞ্চ চলাচল করতে দেখা যায়।
এদিকে দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি দিয়ে নগরীর পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ-মিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, মালিকপক্ষ বারবার আশ্বাস দিয়েও দাবি না মেনে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছেন। এবার দাবি না মানা পর্যন্ত শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কোনো আশ্বাসেই শ্রমিকরা পিছ পা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের ১১দফা দাবিগুলোর মধ্যে- নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারীদের খোরাকী ভাতা ফ্রিসহ ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, মাস্টার ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় ও ডিপিডিসি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সব ধরনের অনিয়ম বন্ধ, কোর্স চলাকালে শ্রমিকদের ছুটি বাধ্যতামূলক করা, নৌযান শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য পৃথক চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা, নৌপথে মোবাইল কোর্টের নামে হয়রানিসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি বন্ধ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নৌ-শ্রমিকের মৃত্যু হলে ১২ লাখ টাকা মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস সার্ভিস ভিসার ব্যবস্থা করার দাবিগুলো অন্যতম।
নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে প্রতিদিন ৭০টি যাত্রীবাহী লঞ্চসহ দুই সহস্রাধিক বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এএটি