শনিবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মিরপুর গোবিন্দগুনিয়া গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুলিশ।
আদালতের নির্দেশে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাসের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা ইমনের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুরে ‘সমর্পণ মাদকাসক্তি, মানসিক চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে’ মারা যায় কাদেরপুর গ্রামের এজাজুল আজিম রিপনের ছেলে কলেজছাত্র ইমন (২০)। ওই প্রতিষ্ঠানের সিসি টিভির ফুটেজে ইমনকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের।
ভিডিও ফুটেজ দেখার পরে ২৭ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন নিহত ইমনের চাচা শাজাহান আলী স্বপন। তিনি মামলায় আব্দুল মতিন, মিন্টু বিশ্বাস, হাবিবুর রহমান হাবিব, অশীত কুমার বিশ্বাস ও জিকু বিশ্বাসকে আসামি করেন।
মামলার দিন ২৭ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুল মতিনসহ মিন্টু বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন ৯ জন রোগীর মধ্যে ৬ জন রোগীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর এবং বাকি তিনজনকে কুষ্টিয়াস্থ ‘ফেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে’ পাঠিয়ে দেয় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
** কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল
** কুষ্টিয়ার সেই মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র সিলগালা, আটক ২
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএ