শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার হাশিমপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হোসেন আলী যশোর সদর উপজেলার হাশিমপুর গ্রামের তরফদারপাড়ার আরশাদ আলী তরফদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে উপজেলার হাশিমপুর বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে হোসেন আলী দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে খবর পেয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহত হোসেন আলীর বোন শরীফা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, গত তিনদিন আগে ছুটিতে হোসেন আলী বাড়ি এসেছেন। সকালে যশোর সদরের ভেকুটিয়া এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তারা খবর পান হোসেন আলী হাশিমপুরে বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে, নিহত হোসেন আলীর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানান, হোসেন আলী তরফদার এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। এরপর সরকার তাকে আনসার বাহিনীতে চাকরি দেয়।
যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মঈনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আনসার বাহিনীর বিশেষ সদস্য হোসেন আলীর খুনিরা বাজারের আশেপাশেই ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে আসার পর তাকে হত্যা করে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে মিশে খুনিরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনি খুন হয়ে থাকতে পারেন। তবে, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেই জড়িত থাক না কেন পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
ইউজি/আরআইএস/