শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে লঞ্চ ঘাটে এসে কেউ কেউ ফিরে গেলেও বাধ্য হয়ে অনেকেই বিকল্প হিসেবে স্পিডবোর্ট ও ট্রলার করে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।
বরিশাল বিভাগীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, এ নিয়ে আমরা চারবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। প্রত্যেকবার আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই এবার দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এদিকে, শনিবার ভোর থেকে ভোলা-বরিশাল, অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে যাত্রীদের কাছে ভোলা-বরিশাল রুটটি গুরুপ্তপূণ হলেও কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
ঘাটের ইজারাদার প্রতিনিধি মাইনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন ভোলা-বরিশাল রুটে ১৪টি লঞ্চ যাতায়াত করে। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে সব বন্ধ রয়েছে। এতে আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।
কয়েকজন যাত্রী বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে লঞ্চ ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় তারা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেকে ফিরে গেছেন।
এদিকে শুধু ভোলা-বরিশাল নয়, ভোলা-ঢাকা রুটেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানান এ রুটে চলাচলকারী গ্লোরি অব শ্রীনগর লঞ্চের ম্যানেজার রুহুল আমিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মঘট তাই লঞ্চ চলবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এসআরএস