দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপক্ষোয় রয়েছে এমভি সোনারতরী-২ ও এমভি বোগদাদিয়া-৭। তবে যাত্রীর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেকটা কম।
চাঁদপুর বন্দরের দায়িত্বরত পরিদর্শক শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, সিডিউলের টাইম ছাড়াই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ রুটের ছয়টি লঞ্চ চাঁদপুর ঘাটে এসেছে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এমভি শরীয়তপুর-১ মুলাদি, দুপুর ১টার দিকে মিরাজ-, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে এমভি সোনারতরী-২ ও সবশেষে বিকেল ৫টায় এমভি বোগদাদিয়া-৭। চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বন্দরের আরেক পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ছয়টি লঞ্চই আবার চাঁদপুর ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। অন্য কোনো লঞ্চ না থাকায় সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। পুলিশ থাকলেও আমাদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ছেড়ে যায় ২৩টি লঞ্চ। এসব লঞ্চ ডাকাতিয়া নদীর পুরোনো লঞ্চঘাট এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়েছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ রুটের এমএল নিলু ও হেদায়াত নামে দু’টি লঞ্চ চাঁদপুরে এসেছে। এ দু’টি লঞ্চও সন্ধ্যার আগে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই লঞ্চঘাটের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল পুলিশ ও নৌ-পুলিশ ঘাটে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছি। যে ক’টি লঞ্চ এসেছে এবং ছেড়ে গেছে তাতে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এসআরএস