নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে দু’টি নৌযানেই ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়তি চাপ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সরজমিনে দেখা যায়, গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ ও বিআইডব্লিউটিসির নৌযানগুলোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি।
জানা যায়, একমাত্র গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের এমভি গ্রিন লাইন-৩ জাহাজটি আসন সংখ্যা অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে ঢাকায় রওনা হয়েছে।
অপরদিকে, বিআইডব্লিউটিসির এমভি মধুমতি জাহাজটিও স্বাভাবিক দিনের থেকে কিছু বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল ছেড়ে গেছে।
গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের বরিশালের ইনচার্জ মো. বাদশা জানান, ঢাকা থেকে শনিবার সকাল ৮টায় রওনা দেওয়া এমভি গ্রিন লাইন-৩ নামের জাহাজটি আড়াইশ যাত্রী নিয়ে দুপুরে নিরাপদে বরিশাল পৌছেছে। পরে বিকেল ৩টায় জাহাজটি ঢাকার দিকে ছয়শ যাত্রী নিয়ে বরিশাল ত্যাগ করে।
ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ থাকায় কোনো আসনই খালি ছিলো না বলে জানান তিনি।
এদিকে বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, এমভি মধুমতি লঞ্চটি পিরোজপুর, ঝালকাঠি থেকে তেমন একটা যাত্রী নিয়ে বরিশালে আসেনি। তবে বরিশাল থেকে কিছু যাত্রী হয়েছে। জাহাজটি যথাসময়ে যাত্রীদের নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় রওনা হয়েছে।
এদিকে নৌ-শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়টি মাথায় রেখে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরিশাল নদী বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নৌ-যান শ্রমিকদের শুরু হওয়া কর্মবিরতির কারণে শনিবার সকাল থেকে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের জেলা-উপজেলার নদীতে কোনো ধরনের যাত্রী ও পণ্যবাহী বৈধ নৌযান চলাচল করতে দেখা যায়নি। পাশাপাশি বরিশাল নদী বন্দরের পল্টুন থেকে অভ্যন্তরীন ও ঢাকাগামী লঞ্চগুলো সরিয়ে নদীর মাঝে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এমএস/এবি