এ ঘটনায় কলেজের শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর জেলা শহরে অবস্থিত বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার ইনস্টিটিইট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (আই-টেইট) কলেজের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে এ অনুষ্ঠান চলছিল। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে স্থানীয় রথখোলা এলাকার এক যুবক অনুষ্ঠানে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় তাকে বাধা দেয়া হয়। এতে ওই যুবক ক্ষুব্ধ হয়ে আরো দুইজন সঙ্গী নিয়ে অডিটরিয়ামে আসে।
পরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নাজমুল ইসলামের সাথে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষককে মারধর করা হলে ঘটনা জানাজানি হয়।
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তিন যুবককে পাল্টা মারধর করে। পরে মারপিটের শিকার তিন যুবক বাহিরে গিয়ে সংগঠিত হয়ে ২৫-৩০ জন যুবককে সঙ্গে করে দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই অডিটরিয়ামের ভিতরে হামলা চালায়। পরে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে চেয়ার, দরজা-জানালার কাঁচ ও আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, কর্মচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে ৫ জনকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত অবস্থায় মৃদুল (২০) ও সৌরভ (১৭) নামে দুই শিক্ষার্থীকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএস/এমআরপি