শনিবার (৩০ নভেম্বর) শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে এ এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে এফডিএসআর'র আইন বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. নোমান চৌধুরী বলেন, সরকারের সাংবিধানিক দণ্ডবিধির ধারা অনুযায়ী এটি সরকার একটি ফৌজদারী মামলা করার কথা থাকলেও আজ সবাই নির্লিপ্ত।
সংগঠনের মহাসচিব ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ২৬ নভেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কয়েকজন নার্স দুইজন নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে কর্তব্যরত অবস্থায় শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। তাদের হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে দুইজন সহকারী অধ্যাপকও আক্রান্ত হন। আমরা অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিভাগীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দোষী নার্সদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে কেউ রাজনৈতিক বা অন্য কোন পরিচয়ে হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর সরকারী প্রতিষ্ঠানে অস্থিতিশীল ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ না পায়।
উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এফডিএসআর’র ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আবু রায়হান, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. মো. রাশিদুল হক, চিকিৎসক ডা. দিবা মাহফুজা খানম, ইউএনএফপিও এর আঞ্চলিক প্রতিনিধি ডা. সামরিন হৃদি, ডা. জাহিদুর রহমান, ডা. লপ্তি, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আসাদুজ্জামান সারোয়ার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আফরিন অনন্যা এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এমএএম/এমআরপি