গত নভেম্বর মাস জুড়ে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা জাতীয় মহাসড়কে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।
অদক্ষ গাড়ি চালক, বদলী ড্রাইভার, হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, সড়কে রোড ডিভাইডার ও বিভিন্ন স্থানে স্পিড ব্রেকার না থাকায় এবং চালকদের গাড়ি চালানোর গতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটছে আর মৃত্যুর মুখে পড়ছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন এই মহাসড়কে চলাচলের কারণেও এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের দাবী।
বিভিন্ন জরিপ সূত্রে জানা যায়, পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে মাগুরমাড়ি চৌরাস্তা আমতলী এলাকায় যাত্রীবাহি বাসচাপায় ইজিবাইকের ৭ যাত্রীর মৃত্যু হয়। ১৩ তারিখে অমরখানা ইউনিয়নের চেকরমারি এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ১ শিশুর মৃত্যু হয়। ২৫ তারিখে ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের সামনে যাত্রীবাহি বাসের ধাক্কায় ১ মোটরসাইকেল আরোহীর ও তেঁতুলিয়ার শিপাইপাড়া এলাকায় মহাসড়কে ১ মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়।
একের পর এক মৃত্যু, আর মৃত্যুর পরে স্বজনদের আহাজারী, বাড়িতে বাড়িতে কাঁন্নার ঢল আর চলছে শোকের মাতম। বারবার দুর্ঘটনার কারণে এখন আতঙ্কিত এই সড়কে চলাচল করা সাধারণ যাত্রী ও সচেতন মহলেরাও। তাই সড়ক আইন মেনে যানবাহন চলাচল ও দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় গতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি সচেতন মহলের।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট বাংলানিউজকে জানান, পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহসড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক'শ ছোট বড় ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। দুর্ঘটনার মুল কারণ হলো বাস, ট্রাক দ্রত গতিতে চলা, এছারাও বদলী ড্রাইভার, লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার ও হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে জনসাধারণের প্রাণহানী হচ্ছে। আশা করি নতুন সড়ক আইন মেনে সকল চালক গাড়ি চালাবে।
পঞ্চগড় মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ২৬৪ এর সভাপতি মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কোন ড্রাইভার ইচ্ছাকৃত ভাবে দুর্ঘটনা ঘটায় না। আর আমি আমার সকল চালককে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দিয়েছি। তবে নতুন সড়ক আইনে কিছু আইন সংশোধন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অন্যদিকে, পঞ্চগড়ের কোনো সড়কই এখন নিরাপদ নয়, প্রতিদিন সড়কে ঘটছে জীবননাশের মতো ঘটনা। ঝরে যাচ্ছে অকালে অনেক প্রাণ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৬ ঘন্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এমআরপি